ডেস্ক রিপোর্ট:
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইমাম কে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ( ৩ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে উপজেলার পৌরসভার কেশবপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত ইমাম আক্কেলপুর পৌরসভার সরদারপাড়া মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি কেশবপুর তা’লীমুল কোরআন নূরানী হাফেজিয়া ও ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষক এবং কেশবপুর মন্ডলপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মেহেদি হাসান মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল বেলা মসজিদের পাশে ওই মাদ্রাসায় দুই ব্যাচে ভাগ করে শিুশুদের কোরআন ও নূরানী শিক্ষা দেন। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে ক্লাস শেষে মাদ্রাসার সব শিক্ষার্থীকে বাড়ি যেতে বলেন মেহেদি হাসান। শুধু ওই শিশুকে থাকতে বলেন। এরপর শিশুটিকে তাঁর রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে।
ভুক্তভোগী শিশুটি বলেন, আমি আর নুসরাত সকালে মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। তখন হুজুর অনৈতিক আচরণ করেছে এবং আমাকে ১০ টাকা দিয়ে বলেন কাউকে যেন না বলি। আমি বাড়ি এসে মাকে টাকা দিয়েছি এবং সব কথাই জানিয়েছি।
শিশুটির বাবা বলেন, আমার মেয়ে সকালবেলা আরবি পড়তে যায়। বাড়ি এসে মাকে জানায় যে হুজুর আমার মেয়ের প্রতি অনৈতিক আচরণ করেছে এবং তাকে ১০ টাকা দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেছে। এ ঘটনা শোনার পর আমরা গ্রামবাসীসহ এখানে এসেছি।
অভিযুক্ত ইমাম মেহেদি হাসান বলেন, সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা নূরানী ক্লাস আছে, এভাবেই চলছে, হঠাৎ বাচ্চার মা আর বাবা এসে আমাকে জুতা তোলে, আমি তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন আমি নাকি অনৈতিক আচরণ করেছি।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মামলা বিষয় নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় শিশু ছাত্রীটির মা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।