ডেস্ক রিপোর্ট:
জয়পুরহাটের কালাইয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মেসার্স সাবা চৌধুরী এন্টার প্রাইজ দুরুন্জ,কালাই, জয়পুরহাটের স্বত্বাধিকারী মো.রানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়. উপজেলার আহাম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বানিহারা গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে তবে এক নাম্বার ও পিকেট ইটের পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে দুই ও তিন নাম্বার ইটের খোয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স সাবা চৌধুরী এন্টার প্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মো.রানা চৌধুরী আগে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতেন দলীয় প্রভাবে নিয়েছেন বিভিন্ন টেন্ডার পদ-পদবী ও আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যবহার করে নিয়েছে বিভিন্ন সুবিধা।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা গেছে, ঝামুটপুর টু বানিহারা জে,ডি,আর,আই,ডি,পি প্রকল্পের আওতায় প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করণের জন্য ২০২৪/২৫ অর্থ বছরে ১ কোটি ১৩ লক্ষ্য ৮৪ হাজার ২২৪ টাকা চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৭ তারিখে দায়িত্ব পেয়েছে মেসার্স সাবা চৌধুরী নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এলজিইডির আওতায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বানিহারা গ্রামের বাসিন্দারা জানান,নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে , এভাবে কাজ চলতে থাকলে রাস্তা টেকসই হবে না, বরং এতে সরকারের অর্থ ও জনগণের সম্পদের অপচয় ঘটবে। একই গ্রামের ওবাইদুর রহমান বলেন. কাজ হচ্ছে তবে ভালো না তারা ইট ভাটা থেকে নিম্ন মানের খোয়া মিক্স করে নিয়ে আসতেছে।
এবিষয়ে সাবা চৌধুরী এন্টার প্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী রানা চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন আমি কোন বক্তব্য দিতে পারব না আপনারা যা পারেন করে নেন।
উপজেলা প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, এক নাম্বার ও পিকেট ইট দিয়ে রাস্তার কাজ হচ্ছে গত সোমবার তিনি পরিদর্শন করেছেন তার জানা মতে কাজ ভালো হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে রাস্তার ব্যপক অনিয়ম থাকলেও মানতে নারাজ উপজেলা প্রকৌশলী। এলাকাবাসীরা দ্রুত প্রকল্পের মান যাচাই ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।