শিরোনাম :
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

সৈয়দপুরে আগুনে ২১ বসতঘরসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই

Reporter Name / ১৬৭ Time View
Update : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২১ টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি হিন্দুপাড়া (ঋষিপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে একটা হিরো মোটর সাইকেল (১১০ সিসি) নগদ ২ লাখ টাকা, স্বর্ন ৩ ভরি, আসবাপত্র, ধান-চালসহ প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী এবং স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার পাতাসী বেগমের বাড়ির সিলিং ফ্যানের সংযোগ থেকে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহুর্তেই তা আশেপাশের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে প্রথমে উত্তরা ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট ও পরে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে দীর্ঘ দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এতে আরও প্রায় ৫০ টি বসতঘর রক্ষা পায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, শ্রী বুচু ঋষির ছেলে শ্রী দানেশ ঋষি, বৈকান্ঠো ঋষির ছেলে রবি ঋষি এবং তার ৪ ছেলে বিমল ঋষি, জয়দেব ঋষি, তপন ঋষি ও তাপস ঋষি, আওদিয়ার ছেলে রাম বাবু, খগেশ্বরের ছেলে সুজন ঋষি, লালচানের ছেলে সুরেশ ঋষি। এছাড়া জয় নামের একজনেরই নগদ ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার হামিদুর রহমান বলেন ২ ঘন্টা ব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। উত্তরা  ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ক্ষতি নির্ধারণ করবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৭০-৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খুরশীদ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই আমরা।

তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে ২১ টি বসতঘর পুড়ে গেছে। তবে সময়মতো আমরা সেখানে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় প্রায় আরও ৫০ টি বসতঘর রক্ষা পেয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনে তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। রাতে হালকা বৃষ্টি হলেও সকাল থেকে থেমে থেমে চলছে ভারি বর্ষণ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রায় শতাধিক মানুষ দূরাবস্থায় নিপতিত হয়েছে। একে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তার উপর মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় বৃষ্টির কারণে করুণ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। সব মিলিয়ে চরম মানবেতর হয়ে পড়েছে তাদের দিনাতিপাত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category