রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার গ্রামাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট এখন চরম দুর্ভোগের নামান্তর। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তাগুলো কাদা-পানিতে ভরে ওঠে। কোথাও কোথাও রাস্তাগুলো এতটাই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে যে, হেঁটে চলাও হয়ে পড়ে অসম্ভব। যান চলাচলের তো প্রশ্নই ওঠে না।
স্থানীয়দের মতে, বছরের পর বছর ধরে এসব রাস্তা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়না। বর্ষাকাল আসলেই এই দুর্ভোগ নিয়মিত হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য এসব রাস্তায় চলাচল করা হয়ে উঠে দুঃসাহসিক অভিযান।
মিঠাপুকুর উপজেলার ৭ নম্বর লতিবপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোর চিত্রই যেন এ অবস্থার বাস্তব প্রতিফলন। পুরো রাস্তা জুড়ে কাদার স্তর, জলাবদ্ধতা আর গর্ত। ঘরের সামনেই কাদা ও পানির মিশ্রণে রাস্তাগুলো যেন রূপ নেয় অস্থায়ী পুকুরে। পায়ে হেঁটে চলা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি যানবাহন চলাচল প্রায় অসম্ভব বললেই চলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবারই নির্বাচনের আগে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু ভোট শেষে সব কথা উধাও হয়ে যায়। আমরা কাদা-মাখা জীবন নিয়েই পড়ে আছি।
মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সেখানে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও চেয়ারম্যানের আওতাধীন বলে উল্লেখ করা হয়। কবে নাগাদ এ দুর্ভোগের শেষ হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো আশ্বাস মেলেনি এখনো।
এই অবস্থা চলতে থাকলে এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিকরা। দ্রুত রাস্তা সংস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।