শিরোনাম :
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

বিরল পাখির অভয়াশ্রম জয়পুরহাটের কানাই পুকুর গ্রাম

Reporter Name / ১৩ Time View
Update : রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

গাছের ডালে বসে আছে শত শত শামুকখোল পাখি সবুজ পাতায় জড়ানো গাছ ছেয়ে গেছে সাদা চাদরে। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কানাই পুকুর গ্রাম।

প্রকৃতির অপরূপ খিয়ালে গ্রামটির পুকুর পাড়ে বড় বড় গাছে বাসা বেঁধেছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল ও এলাকার বিভিন্ন ফসলের কাঁদা পানির মাঠ থেকে পোকা মাকড় , শামুক ঝিনুক খেয়ে জীবন ধারণ করে পাখিগুলো।

জানা যায়, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের কানাইপুকুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির পাশে রয়েছে একটি পুকুর। সেই পুকুরের চারপাশে প্রায় ৫ বিঘা জমির ওপর বট, নিম, তেঁতুল, আম, বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন গাছ রয়েছে। এসব গাছে একটা সময় রাতচরা পাখি বাসা বেঁধেছিল। এরপর সাদা বকের পর ধীরে ধীরে সেখানে রাজত্ব চলে আসে শামুকখোল পাখির দখলে। প্রায় দুই দশক ধরে শামুকখোল পাখির স্থায়ী অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে এই স্থানটি

ক্ষেতলাল উপজেলার নিবৃত পল্লী কানাইপুকুর গ্রামে বাসা বেঁধেছে বিরল প্রজাতির পাখি শামুকখোল গ্রামবাসীরাও গভীর মমতা দিয়ে আগলে রেখেছে পাখিগুলো কে। নিরাপদ আশ্রয় আর মানুষের ভালোবাসায় গ্রামে পাখির সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

পাখির কিচিরমিচির ডাক সবসময় মুখরিত করে রাখে গ্রামবাসীকে। তাই নিজের সন্তানের মতো লালন করেন তারা পাখিদের। অন্যদিকে গাছে গাছে পাখিরা ডিম থেকে বাচ্চাও প্রজনন করছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকেই এ পাখি আসা যাওয়া করে শামুকখোল পাখি দেখার জন্য অনেকেই আসে এ গ্রামে বর্তমানে এ পাখির গ্রাম নামেও পরিচিত এ কানাই পুকুর গ্রাম।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শামুকখোল পাখিকে কেন্দ্র করে পর্যটন বান্ধব একটি পরিকল্পনা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category