শিরোনাম :
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

জয়পুরহাটে রেলস্টেশন মাস্টার খাদিজার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

Reporter Name / ২৩ Time View
Update : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

জয়পুরহাট আক্কেলপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মোছাঃ খাদিজা খাতুনের মনগড়া প্রতিবেদনে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতিতে বাঁধা ও তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে।
এ দাবিতে আজ রোববার সকাল ১১ টায় আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফার্মে মানববন্ধন করা হয়। আক্কেলপুরবাসীর ব্যনারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে অর্ধশত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তবে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের মাস্টার খাদিজা খাতুন মানববন্ধনে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন।
আক্কেলপুর রেলস্টেশনে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির সমন্বয়ক ও আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রউফ মাজেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম চপল, তিলকপুর ইউপির সদস্য মামুনুর রশিদ পিন্টু, কলেজ শিক্ষক খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম তুহিন, মাসুদ চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আরমান হোসেন কানন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, খাদিজা খাতুন বিশ বছরের অধিক সময় ধরে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের মাস্টারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সান্তাহার জংশনেরও মাস্টারের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। খাদিজা খাতুনের মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি (স্টপেজ) আটকে রয়েছে। এখানকার রেলস্টেশনের দায়িত্ব থেকে তাঁকে অপসারণ করতে হবে।
চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির সমন্বয়ক আব্দুর রউফ মাজেদ বলেন, আক্কেলপুর রেলস্টেশনে আক্কেলপুর ছাড়াও পাশের ক্ষেতলাল, বগুড়ার দুঁপচাচিয়া একাংশের ও নওগাঁর বদলগাছি, পত্নীতলা উপজেলার লোকজন আক্কেলপুর রেলস্টেশনে দিয়ে ট্রেনে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। আমরা ঢাকাগামী (আপ-ডাউন) চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের এখানে যাত্রা বিরতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম। রেলস্টেশনের মাস্টার খাদিজা খাতুনের মনগড়া প্রতিবেদনের জন্য চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি আটকে রয়েছে।
তিলকপুর ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, খাদিজা খাতুন বিশ বছরের অধিক সময় ধরে এখানকার রেলস্টেশনের মাস্টারের দায়িত্বে আছেন। তিনি যাত্রীদের দুর্ব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাঁকে এখান থেকে অপসারণ করতে হবে। নাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করবো।
আক্কেলপুর রেলস্টেশনের মাস্টার খাদিজা খাতুন তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধনে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কষ্ট করে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস টেনে প্রতিদিন সকালে সান্তাহারে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য যেতে হয়। চিলাহাটি এক্সপ্রেস টেন দাড়ালে সবচেয়ে বেশি সুবিধা আমার হবে। আমি চিলাহাটি ট্রেনের আক্কেলপুর রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতির বিরোধীতা করে মৌখিক ও লিখিতভাবে কোন নেতিবাচক প্রতিবেদন দেইনি। আমি ২০২৪ সালে সান্তাহার জংশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। এক বছর তিন মাস উভয় স্টেশনে দায়িত্ব পালনে কোন যাত্রী আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ করেনি। আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা-ভিত্তিহীন। একটি স্বার্থান্নেসী মহল আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category