শিরোনাম :
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন

কালাইয়ে পুরাতন ভবনে পাঠদান ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

Reporter Name / ৯৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের ভেরেন্ডি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও নতুন ভবন না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ফাটল যুক্ত কক্ষে চলছে প্রায় ২’শ শিশু শিক্ষার্থীর পাঠদান। যেকোন সময় বিভিন্ন দূর্ঘটনা ঘটার শংকায় রয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেরেন্ডি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে। প্রতিটি রুমের দেওয়াল গুলোতে ফাটল রয়েছে। ছাদের অনেক অংশ থেকে সিমেন্টের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। বেঁকে গেছে ভবনের কয়েকটি পিলার। বিদ্যালয়ে তিন কক্ষের পাকা ভবন ও পাঁচ কক্ষের টিনশেড ঘর টিনশেডের পাঁচটি রুমের মধ্যে চারটিতে চলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আর একটি রুমে ভাঙ্গা ফ্রেঞ্চ,চেয়ার টেবিল সহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র। এছাড়াও পাকা ভবনের তিনটি কক্ষের মধ্যে একটি অফিস কক্ষ আর অন্য দুইটা শ্রেনীকক্ষ সেই পাকা ভবনের ছাদ থেকে প্লাস্টার খুলে পড়ছে।

জানা গেছে, ১৯১২ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে তিন কক্ষ এবং ১৯৯৪ সালে দুই কক্ষসহ ৫ কক্ষের টিনশেড ভবন নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে তিন কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টির মোট আটটি কক্ষের মধ্যে টিনশেড ভবনের পুরাতন পাঁচটি কক্ষই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেখানে বর্তমানে ১শ ৮৩ জন শিক্ষার্থী এবং ছয় জন শিক্ষক রয়েছে।

এবিষয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া সামিউল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী জানান, তাদের স্কুলের ঘর ভাঙ্গাচূড়া, এই ঘরে পড়তে ভয় লাগে। তাই জন্য সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধও করেছেন

ঐ বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী জানান,দেয়ালটি ভাঙা‌ ফাটল দেখা দিয়েছে যদি দেয়ালটি ভালো থাকতো তাহলে আমরা আনন্দে ক্লাস করতে পারতাম। হঠাৎ করে দেয়ালটি পড়ে গেলে আমাদের ছাত্র- ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমাদের ঘরের টিন টুন ফাটা সেজন্য বৃষ্টি পড়ে আমরা ক্লাস করতে পারিনা।

বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান বলেন, ভেরেন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনো অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। আপনারা কালাই উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের দিকে তাকিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন প্রত্যেকটা বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই বিদ্যালয়ের ভাঙ্গা রুমে এখনো আমরা ক্লাস করতেছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবন আছে একটি এবং পাকা ভবন আছে একটি জায়গার অভাবে টিনশেড ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরেও আমরা ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছি। অতি দ্রুত আমাদের বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন।

উপজেলা প্রথাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদুল আলম বলেন, উপজেলার ভেরেন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিযোগটি আমি জানতে পেরেছি। যেহেতু আমি নতুন আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category